মো: এমদাদুল কাসেম সেন্টু,উজিরপুর প্রতিনিধিঃ বরিশালের উজিরপুর উপজেলায় শোলক ইউনিয়নের দত্তস্বর গ্রামে মোবাইল চুরির অপবাদ দেয়ায় গলায় ফাঁস দিয়ে ৭ম শ্রেণির ছাত্র আত্মহত্যার চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় মামলা তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। পরিবার ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায় উপজেলার শোলক ইউনিয়নের দত্তস্বর গ্রামের পবিত্র কুমার মন্ডলের ছেলে প্রতিক মন্ডল(২০) এর একটি এন্ড্রয়েড মোবাইল সেট গত রবিবার চুরি হয়। এ নিয়ে পবিত্র কুমার মন্ডল ও তার আত্মীয় স্বজন মিলে ওই এলাকার সুভাষ ঘরামীর ছেলে দেব কুমার ঘরামী ৭ম শ্রেণির ছাত্রকে মোবাইল চুরির অপবাদ দিয়ে বিভিন্ন ভয়ভীতি ও হুমকি দেয়। এরপর ওই ছাত্রকে তার মা মারধর করে। এরই প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার সকাল ৮ টার দিকে দেব কুমার ঘরামী মুখ লজ্জায় তাদের রান্না ঘরে আড়ার সাথে দড়ি দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। এসময় তাকে বাড়ির লোকজন মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে উজিরপুর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত ডাঃ তার অবস্থা আশঙ্কা জনক হওয়ায় বরিশাল সেরে – বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানেও কর্তব্যরত ডাঃ ওই ছাত্রকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা হাসপাতালে প্রেরণ করেন। বর্তমানে সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মামলা হয়নি। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত প্রবিত্র কুমার মন্ডল জানান, আমার ছেলের মোবাইল সেট চুরি করে দেব কুমার ঘরামী। তবে সে শিশু তাই তাকে আমরা তাকে কোন চাপসৃষ্টি করিনি। তার মা হয়তো তাকে মারধর করেছে। এরপর শুনেছি সে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলো। সে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে। ছাত্র’র পিতা সুভাষ ঘরামী জানান, আমার ছেলে দেব কুমার পাশের বাড়ির পবিত্র কুমার মন্ডলের ছেলে প্রতিক মন্ডলের একটি টার্চ মোবাইল ফোন দেখার জন্য আনলে তাকে চুরির অপবাদ দেয়া হয়। এ কারনে তার মা তাকে মারধর করে। তাই সে রাগান্বিত হয় ও ক্ষোভে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করে। অল্পের জন্যে আমার নাবালক ছেলে প্রানে বেঁচে যায়। তবে এখন আমার ছেলে ঢাকা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে। এখন কিছুটা সুস্থ্য। এদিকে স্থানীয়রা জানান ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর পরিবার গরিব ও অসহায় তাই প্রভাবশালী পবিত্র কুমার মন্ডল ও তার ছেলে প্রতিক মন্ডলসহ চুরির অপবাদ দেয়ার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করতে সাহস পাচ্ছে না। উজিরপুর মডেল থানার এসআই ইউসুফ হোসেন জানান বিষয়টি জানা নেই, তবে চিকিৎসা শেষে ঢাকা থেকে বাড়িতে আসলে অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। অফিসার ইনচার্জ মোঃ জাফর আহম্মেদ জানান, বিষয়টি জানা নেই, অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।