কোরআন মানুষকে আল্লাহর রহমতের অংশীদার করে। মানুষ যখন মনোযোগসহ কোরআন শ্রবণ করে, তখন তাদের ওপর আল্লাহর রহমত অবতীর্ণ হয়।
শুধু তা-ই নয়, যারা কোরআন তিলাওয়াত করে এবং সে অনুযায়ী আমল করে, মহান আল্লাহ তাদের এর উত্তম প্রতিদান দেন। কোরআনের পেছনে সময়ের বিনিয়োগ কখনো বৃথা যায় না। এ ব্যাপারে মহান আল্লাহ নিজেই বলেছেন, ‘নিশ্চয়ই যারা আল্লাহর কিতাব অধ্যয়ন করে, সালাত কায়েম করে এবং আল্লাহ যে রিজিক দিয়েছেন তা থেকে গোপনে ও প্রকাশ্যে ব্যয় করে, তারা এমন ব্যবসার আশা করতে পারে, যা কখনো ধ্বংস হবে না। যাতে তিনি তাদেরকে তাদের পূর্ণ প্রতিফল দান করেন এবং নিজ অনুগ্রহে তাদের আরো বাড়িয়ে দেন।
যারা দুনিয়াতে কোরআন চর্চা করবে, যে অনুযায়ী জীবন সাজাবে। কোরআনের প্রচার-প্রসারে আত্মনিয়োগ করবে, কিয়ামতের দিন মহান আল্লাহ তাদের সম্মানিত করবেন। হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘কোরআন পাঠে দক্ষ ব্যক্তি (আখিরাতে) সম্মানিত নেককার লিপিকার ফেরেশতাদের সঙ্গে থাকবে। আর যে ব্যক্তি তা পাঠ করে এবং এটা তার পক্ষে খুবই কঠিন ও কষ্টকর, সে দুটি পুরস্কার পাবে।’ (তিরমিজি, হাদিস : ২৯০৪)
আর যারা তাদের সন্তানকে কোরআনের শিক্ষায় শিক্ষিত করবে, কোরআন মোতাবেক জীবন গড়ার মতো মনমানসিকতা তৈরি করে বড় করবে, তাদের পুরস্কার হলো জান্নাতে বিশেষ সংবর্ধনা। হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, সাহল ইবনে মুআজ আল-জুহানি (রহ.) তাঁর পিতা থেকে বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি কোরআন পাঠ করে এবং তদনুযায়ী আমল করে, কিয়ামতের দিন তার মা-বাবাকে এমন মুকুট পরানো হবে, যার আলো সূর্যের আলোর চেয়েও উজ্জ্বল হবে।’ (আবু দাউদ, হাদিস : ১৪৫৩)
মহান আল্লাহ আমাদের সবাইকে কোরআনের প্রতি ভালোবাসা স্থাপনের তাওফিক দান করুন। আমিন।