উজিরপুর প্রতিনিধিঃ বরিশালের উজিরপুর উপজেলায় বড়াকোঠা ইউনিয়নের বড়াকোঠা গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে পরিত্যক্ত ঘরে আগুন দিয়ে প্রতিপক্ষকে ফাঁসানোর চেষ্টা চালাচ্ছে এলাকার মামলা বাজ, ভূমিদস্যু ঔ দুষ্কৃতিকারী বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় এলাকায় আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে । সুত্রে জানা যায় উপজেলার বড়াকোঠা ২নং ওয়ার্ডের মৃত রাজেন্দ্রনাথ হালদারেরর ছেলে সাবেক ইউপি সদস্য এলাকার মামলাবাজ, ভূমিদস্যু দুষ্কৃতি নামে পরিচিত প্রফুল্ল কুমার হালদারের সাথে পার্শ্ববর্তী শোলক ইউনিয়নের কাংশী গ্রামের নুরমোহাম্মদ সরদারের ছেলে মোঃ জাকির হোসেন সরদারের সাথে জমিজমা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এরই প্রেক্ষিতে ৬ জুন বৃহষ্পতিবার গভীর রাতে অজ্ঞাতরা একটি পরিত্যক্ত ঘরের চালে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায়। প্রফুল্ল হালদার বাদী হয় ৩ জনকে আসামি করে উজিরপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন । অভিযুক্তকারী মোঃ জাকির সরদার জানান, প্রভাবশালী ভূমিদস্যু প্রফুল্ল কুমার হালদার আমাকে ও বড়াকোঠা গ্রামের সুশীল হালদার ও সুখরঞ্জন হালদারের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজিসহ একাধিক মিথ্যা মামলা দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকার ক্ষতিসাধণ করেছে। যার মামলা নম্বর ৭৮/২০২১,ইং,২০৯/১৪ইং,২৮০/৮ইং,৭৮/২১ইং। এছাড়াও প্রফুল্ল কুমার হালদার মন্দিরের জমি দখল করে একটি টিনের ঘর তৈরি করে। সেখানে প্রতিদিন জুয়ার আসর বসায়। এমনকি ওই পরিত্যক্ত ঘরে প্রফুল্ল হালদার নিজেই আগুন ধরিয়ে দিয়ে আমাদের ফাঁসানোর জন্য মিথ্যা নাটক সাজিয়ে উজিরপুর মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করে। অন্যের জমি দখল করা তার নেশা ও পেশা। বড়াকোঠা গ্রামের সুশীল হালদার জানান আমি পেসায় একজন কাঠমিস্ত্রি, ঘটনার দিন সহ এখন পর্যন্ত আমি পটুয়াখালী কাজে আছি আমার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দিয়েছে। প্রফুল্ল হালদার জানান আমার সাথে জমি নিয়ে বিরোধ রয়েছে তাই ওরা আমার ঘরে আগুন দিতে পারে বলে বিষয়টি এড়িয়ে যায়। উজিরপুর মডেল থানার এসআই রহমান জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিনে তদন্ত করা হয়েছে। অজ্ঞাতরা একটি ছাপড়া ঘরের চালে আগুন দিয়েছে। তবে কাউকে সনাক্ত করা যায়নি। পূনরায় তদন্ত করে প্রকৃত রহস্য উদঘাটন করা হবে। এদিকে ওই মামলাবাজদের খপ্পর থেকে রেহাই পেতে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন ভুক্তভোগীরা।