মোঃ এমদাদুল কাশেম সেন্টু, উজিরপুর প্রতিনিধিঃ বরিশালের উজিরপুর উপজেলার শোলক ইউনিয়নের দামোদরকাঠী আনোয়ারীয়া দাখিল মাদ্রাসায় হাজিরা খাতায় সাক্ষর থাকলেও শিক্ষার্থীদের পাঠদানে নেই ইংরেজি শিক্ষক মোঃ জালিছ মাহমুদ। এছাড়াও প্রতিষ্ঠানটি চলছে অনিয়মের মধ্য দিয়ে ।ক্ষুব্ধ শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ এলাকাবাসী। এ সংবাদে ২৭ সেপ্টেম্বর বুূধবার বেলা ১১টায় এবং ১৬ অক্টোবর সোমবার বেলা ১২ টায় সাংবাদিকরা ওই মাদ্রাসায় তথ্যে সংগ্রহে গেলে সেখানে অভিযুক্ত শিক্ষক জালিছ মাহমুদ এর হাজিরা খাতায় সাক্ষর থাকলেও তাকে মাদ্রাসায় পাওয়া যায়নি। মাদ্রাসায় উপস্থিত থাকলেও ঠিকমতো ক্লাস করায় না। এ ব্যপারে অত্র মাদ্রাসার নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক শিক্ষক অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, ইংরেজি বিষয়ের শিক্ষক জালিছ মাহমুদ প্রায়ই হাজিরা খাতায় সাক্ষর করে কাজের অযুহাত দিয়ে চলে যায়। এমনকি প্রতি বৃহস্পতিবার সে মাদ্রাসায় আসেননা। তবে হাজিরা খাতায় সাক্ষর দিয়ে চলে যায় এবং উপস্থিত থাকলে ভারপ্রাপ্ত অধ্যাক্ষর সাথে সময় কাটিয়ে ছুটি হবার আগে চলে যায়। ইউপি সদস্য মোঃ শাজাহান বেপারী বলেন, আমাদের এই মাদ্রাসায় প্রভাব খাটিয়ে ওই শিক্ষক নামেমাত্র শিক্ষক, তাকে গত ৩ মাস ধরে মাদ্রাসায় কয়েকজন শিক্ষার্থীকে প্রাইভেট পড়ানো শেষ করে হাজিরা খাতায় সাক্ষর দিয়ে প্রায়ই মাদ্রাসা থেকে নিজের কাজের জন্য অন্যত্রবচলে যায়। মাদ্রাসা ফাঁকি দিয়ে বেতন ঠিকই হাতিয়ে নিচ্ছেন। তিনি আরো বলেন, এই প্রতিষ্ঠানে ১৭ জন শিক্ষক ও কর্মচারী রয়েছে। আর শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি মাত্র ৫০/৬০জন। এছাড়া মাদ্রাসার অধ্যাক্ষ হামিদুল্লাহ ও সহকারী শিক্ষক জালিছ মাহমুদের অনিয়ম আর অবহেলার কারনে দিন দিন শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমে যাচ্ছে। এতে করে ভবিষ্যতে এই প্রতিষ্ঠানের অবস্থা বেগতিক ও শিক্ষাব্যবস্থা ধংস হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি টিকিয়ে রাখার জন্য তার অপসারণ হওয়া উচিৎ। অভিযুক্ত শিক্ষক জালিছ মাহমুদ জানান, আমি সভাপতির অনুমতি নিয়ে বিভিন্ন কাজে যাই বলে বিষয়টি এড়িয়ে যান। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সৈয়দ মোঃ হামিদুল্লাহ জানান, আমি বরিশালে মাদ্রাসার কাজে যাই। ইংরেজি শিক্ষক হয়তো ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিকে জানিয়ে কোথাও গিয়াছে। ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও শোলক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আঃ হালিম সরদার জানান, আজকে আমি তাকে মাদ্রাসার কাজের জন্য ডেকে এনেছি। তবে পূর্বে অনুপস্থিত এর ব্যপারে আমার জানা নেই, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। উজিরপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এবিএম জাহিদুল ইসলাম জানান,বিষয়টি জানা নেই, তবে তদন্ত সাপেক্ষে সত্যতা পেলে পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। এদিকে হাজিরা খাতায় সাক্ষর দিয়ে ক্লাসে শিক্ষার্থীদের পাঠদান না দিয়ে অন্যত্র নিজের কাজে ব্যস্ত থাকায় ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিচারের দাবীতে ফুঁসে উঠেছে এলাকাবাসী। এছাড়াও গোপন সুত্রে জানাযায় মাদ্রাসায় নিয়োগ নিয়ে চলে রমরমা বাণিজ্য। যদি কোন শিক্ষক নিয়োগ অথবা স্কুলের দুর্নীতির কথা সাংবাদিকের কাছে অভিযোগ করে তাহলে তার বেতন বন্ধ করে দেয়। তাই ওই মাদ্রাসার শিক্ষকরা সাংবাদিকের কাছে প্রকাশ্যে কোন সাক্ষাৎকার দিতে চায় না।