1. faysal.rakib2020@gmail.com : admin :
  2. litonbayzid@gmail.com : Litonbayzid :
  3. barishaljanapad24@gmail.com : Litonbsl :
উজিরপুরে মাদ্রাসায় হাজিরা খাতায় সাক্ষর থাকলেও পাঠদানে নেই শিক্ষক - Barishal janapad ।। বরিশাল জনপদ
রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫, ০৯:০৮ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ উজিরপুরের হস্তিশুন্ড আমেরিকা প্রবাসীর ভবনে হামলা,ভাংচুর ও লুটপাট নারীসহ আহত-৮ গোপালগঞ্জে জুলাই যোদ্ধাদের উপরে হামলার প্রতিবাদে বরিশাল জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল উজিরপুর – বানারীপাড়া উপজেলা ও পৌর বিএনপির নেতাকর্মিদের মাঝে কাউন্সিলকে ঘিরে উৎসাহ, উদ্দিপনা বরিশাল-৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করবেন অ্যাডভোকেট আবু আল রায়হান হিজলায় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ। মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের জমি জবরদখলের প্রতিবাদে মুখর রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ কাউনিয়া ব্রাঞ্চ রোড সেকশন মাঠ রক্ষার দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ রহমতপুর বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান: ১৫ কেজি পলিথিন জব্দ, ১ হাজার টাকা জরিমানা বাবুগঞ্জে কেদারপুর ইউনিয়ন বিএনপির ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত — সভাপতি কামাল, সম্পাদক মোস্তফা
নোটিশ :
জেলা-উপজেলা পর্যায়ে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে।

উজিরপুরে মাদ্রাসায় হাজিরা খাতায় সাক্ষর থাকলেও পাঠদানে নেই শিক্ষক

  • প্রকাশিত : বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
  • ১৯২ 0 বার সংবাদি দেখেছে

 

মোঃ এমদাদুল কাসেম সেন্টু, উজিরপুর প্রতিনিধিঃ বরিশালের উজিরপুর উপজেলার শোলক ইউনিয়নের দামোদরকাঠী গ্রামের আনোয়ারীয়া দাখিল মাদ্রাসায় হাজিরা খাতায় সাক্ষর থাকলেও শিক্ষার্থীদের পাঠদানে নেই ইংরেজি শিক্ষক মোঃ জালিছ মাহমুদ। ক্ষুব্ধ শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ এলাকাবাসী। ২৭ সেপ্টেম্বর বুূধবার বেলা ১১টায় সাংবাদিকরা ওই মাদ্রাসায় তথ্যে সংগ্রহে গেলে সেখানে অভিযুক্ত শিক্ষক জালিছ মাহমুদ এর হাজিরা খাতায় সাক্ষর থাকলেও তাকে মাদ্রাসায় পাওয়া যায়নি। এ ব্যপারে অত্র মাদ্রাসার শিক্ষক মোঃ রুহুল আমিন, গোলাম হোসেন, মোঃ আলামিনসহ অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, ইংরেজি বিষয়ের শিক্ষক জালিছ মাহমুদ প্রায়ই হাজিরা খাতায় সাক্ষর করে কাজের অযুহাত দিয়ে চলে যায়। এমনকি প্রতি বৃহস্পতিবার সে মাদ্রাসায় আসেন না। তবে হাজিরা খাতায় সাক্ষর দিয়ে চলে যায়। ইউপি সদস্য মোঃ শাজাহান বেপারী বলেন, আমাদের এই মাদ্রাসায় প্রভাব খাটিয়ে ওই শিক্ষক নামে মাত্র শিক্ষক, তাকে গত ৩ মাস ধরে মাদ্রাসায় কয়েকজন শিক্ষার্থীকে প্রাইভেট পড়ানো শেষ করে হাজিরা খাতায় সাক্ষর দিয়ে প্রায়ই মাদ্রাসা থেকে নিজের কাজের জন্য অন্যত্র চলে যায়। মাদ্রাসা ফাঁকি দিয়ে বেতন ঠিকই হাতিয়ে নিচ্ছেন। তিনি আরো বলেন, এই প্রতিষ্ঠানে ১৭ জন শিক্ষক ও কর্মচারী রয়েছে। আর শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি মাত্র ৫০/৬০জন। এছাড়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ হামিদুল্লাহ ও সহকারী শিক্ষক জালিছ মাহমুদের অনিয়ম আর অবহেলার কারনে দিন দিন শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমে যাচ্ছে। এতে করে ভবিষ্যতে এই প্রতিষ্ঠানের অবস্থা বেগতিক ও শিক্ষাব্যবস্থা ধংস হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি টিকিয়ে রাখার জন্য তার অপসারণ হওয়া উচিৎ। অভিযুক্ত শিক্ষক জালিছ মাহমুদ জানান, আমি সভাপতির অনুমতি নিয়ে বিভিন্ন কাজে যাই বলে বিষয়টি এড়িয়ে যান। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সৈয়দ মোঃ হামিদুল্লাহ জানান, আমি বরিশালে মাদ্রাসার কাজে যাই। ইংরেজি শিক্ষক হয়তো ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিকে জানিয়ে কোথাও গিয়াছে। ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও শোলক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আঃ হালিম সরদার জানান, আজকে আমি তাকে মাদ্রাসার কাজের জন্য ডেকে এনেছি। তবে পূর্বে অনুপস্থিত এর ব্যপারে আমার জানা নেই, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। উজিরপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এবিএম জাহিদুল ইসলাম জানান,বিষয়টি জানা নেই, তবে তদন্ত সাপেক্ষে সত্যতা পেলে পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। এদিকে হাজিরা খাতায় সাক্ষর দিয়ে ক্লাসে শিক্ষার্থীদের পাঠদান না দিয়ে অন্যত্র নিজের কাজে ব্যস্ত থাকায় ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিচারের দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

Comments are closed.

‍এই ক্যাটাগরির ‍আরো সংবাদ