
মো:এমদাদুল কাসেম সেন্টু, উজিরপুর প্রতিনিধি: উজিরপুর উপজেলার শোলক ইউনিয়নের কাংশী বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন পাকা রাস্তার উপর পূর্বের জমি-জমার বিরোধের জের ধরে স্বৈরাচার আওয়ামীলীগের দোসর,সন্রাসী ও একাধিক মামলার আসামিদের হামলায় ধামুরা ডিগ্রি কলেজের সভাপতি ও সম্পাদকসহ ৫ জন আহত হয়েছে। আহতরা উজিরপুর হাসপাতালে ও বরিশাল শেরে -ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে । এব্যাপারে উজিরপুর মডেল থানায় ৬ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছে । স্হানীয় ও মামলা সুত্রে জানাযায় ধামুরা গ্রামের আবু বক্কার সরদারের সাথে একই গ্রামের বিএনপি নেতা মো: সেলিম হোসেনের দির্ঘদিন পর্যন্ত জমি নিয়ে বিরোধ চলমান রয়েছে । স্বৈরাচার আওয়ামীলীগের আমলে আবু বক্কার সরদার জোর করে মো: সেলিম হোসেনের মালিকানা ১০ শতাংস জমি থেকে ৮ শতাংস জমি দখল করে নেয়। এনিয়ে মামলা চলমান রয়েছে। আবু বক্কার ২৩ জুলাই বিকেলে বাকি ২ শতাংস জমি পূর্ব পরিকল্পিত দেশীয় তৈরি অস্ত্র নিয়ে দখল করতে গেলে মো: সেলিম হোসেন তার পরিবারের লোকজন নিয়ে বাধা প্রধান করে। এসময় সেলিম হোসেনের পরিবারের উপর হামলা চালায়। হামলায় সেলিম হোসেন (৪৮) তার পুত্র ধামুরা ডিগ্রি কলেজের ছাত্র দলের সভাপতি মো: সাব্বির হোসেন (২৩), ছোট পুত্র মো: ইমন (১৯),এছাড়াও হামলা কারীদের হাত থেকে বাঁচাতে গিয়ে ধামুরা ডিগ্রি কলেজের ছাত্র দলের সাধারণ সম্পাদক মো: সোহান মৃধা একই গ্রামের মো: ফায়জুল হক হাওলাদার সহ ৫ জন আহত হয়। আহতের স্হানীয়রা উদ্ধার করে উজিরপুর হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত ডাক্তার গুরুতর আহত মো: সাব্বির আহম্মেদের অবস্হা আশঙ্কা জনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরে-ই- বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেন এবং চিকিৎসাধীন রয়েছে। বাকি আহতরা উজিরপুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এব্যাপারে আহত মো: সেলিম সরদার বাদি হয়ে মোঃ রানা সরদার (৪০), মোঃ আবু বক্কার সরদার (৬০), মোঃ সংগ্রাম সরদার (২২), সাজিন সরদার (২০), মোঃ রোহান সরদার (১৮), মোসা: কহিনুর বেগম(৫০) নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করে। বিএনপি নেতা সেলিম হোসেন ও স্হানীয় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাদিক ব্যাক্তি সংবাদ কর্মিদের বলেন আওয়ামীলীগের দোসর আবু বক্কার ও তার পরিবারের লোকজন মামলা বাজ ও সন্রাসী বলে পরিচিত। আবু বক্কার ও তার ছেলে রানার বিরুদ্ধে জমি জমা, মারামারি, মাদক, ধর্ষন ও অস্ত্র আইনে একাধিক মামলা চলমান রয়েছে। ইতিপূর্ব অস্ত্র, মাদকসহ র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার সহ একাধিক মামলায় জেল হাজতে ছিলেন। এরাএলাকায় মুর্তিমান আতঙ্ক । অভিযুক্ত আবু বক্কারের সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে মুঠো ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।উজিরপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুস সালাম জানান মো: সেলিম হোসেনের অভিযোগ পেয়ে মামলা রেকট করা হয়েছে । আসামিদের গ্রেপ্তার অব্যাহত হয়েছে। অপরদিকে অপর পক্ষ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে কিনা জানতে চাইলে বলেন অভিযোগ পাইনি অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যাবস্হা নেয়া হবে।