স্টাফ রিপোর্টার ॥ বরিশাল নগরীর গীর্জা মহল্লা এলাকায় অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ‘আছমত আলী খান (এ.কে) ইনস্টিটিউশন’ স্কুলের এর মনগড়া কমিটি গঠনের পায়তারা করার অভিযোগ এনে বর্তমান কমিটির সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে পৃথক ২টি উকিল নোটিশ প্রদান করা হয়েছে। ১১ অক্টোবর (বুধবার) এ দুই নোটিশ করা হয়। নোটিশ দাতা হলেন নগরীর রুপাতলী এলাকার বাসিন্দা কবির হোসেন এবং নগরীর এম এ জলিল সড়ক (মীরা বাড়ি) এলাকার হোসনে আরা হাসি। তাদের পক্ষের আইনজীবী হলেন, বরিশাল জেলা আইজীবী সমিতির এ্যাড. শেখ আমিনুল ইসলাম সোয়েব ও তৌহিদুল ইসলাম সোহেল। বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে।
নোটিশ সূত্রে জানা গেছে, ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির বর্তমান পরিচালনা পরিষদ গোপনে অবৈধভাবে পকেট কমিটি করিয়া পরিচালনা করিয়া আসতেছে। এক নোটিশ দাতা নিজেই স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি প্রার্থী। তিনি সভাপতির ফরম কিনতে গেলে জানতে পারে গোপনে কমিটি গঠন করা হইতেছে। ফরম আনতে চাইলে তার সাথে খারাপ ব্যবহার করে তাড়িয়ে দেয়া হয়। প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটি গঠন বিষয়ে কোন নিয়ম কানুন তোয়াক্কা না করে গোপনে পকেট কমিটি গঠন করতেছে। যা প্রবিধানমালা ২০০৯ এর সস্পূর্ণ পরিপন্থি। এবং আইনগত অবৈধ। নোটিশ প্রাপ্তির ৭দিনের মধ্যে উহার কারন বর্ণনা করে এবং যথাযথ প্রক্রিয়ায় সভাপতি ফরম বিক্রয় করবেন। নোটশ বোর্ডে টানিয়ে প্রকাশ করবেন কিংবা স্থানীয় কোন দৈনিক প্রত্রিকায় প্রকাশ করবেন। আবার উপরোক্ত অনিয়মের বিষয় তুলে ধরে নোটিশ প্রদান করেন হোসনে আরা হাসি।
এ বিষয়ে এ.কে স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আইরিন পারভীন বলেন আপাতত স্কুলের আগামী পরিচালনা কমিটির নির্বাচনী কার্যক্রম আমি পরবর্তী পর্যায়ে নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখার চেষ্টা করবো, কিন্তু নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হলেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের হাতে, তিনি যা করবেন সেখানে আমার কিছু করার থাকে না।
এ.কে স্কুলের নতুন কমিটি গঠন নিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বীথিকা সরকার এর ব্যবহৃত মুঠোফোনের নম্বরে ফোন দিলে তিনি রিসিভ করেননি।
আইনজীবী বলেছেন, বরিশালের ওই ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নোটিশ পাঠানো হয়েছে, তারপরও যদি কেউ পকেট কমিটি গঠনের পায়তারা চালালে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।