উজিরপুর প্রতিনিধিঃ বরিশালের উজিরপুর উপজেলার বামরাইল ইউনিয়নের হস্তিশুন্ড ফাজিল মাদ্রাসার সহকারি শিক্ষক মোঃ মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ২ লক্ষ টাকা উৎকোচের অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার। সুত্রে জানা যায় খোলনা গ্রামের সুলতান হাওলাদারের মেয়ে ফাতেমা বেগমের আশুকাঠী গ্রামের শাহজামান নামের এক ব্যবসাীয়র সাথে সামাজিক ভাবে বিবাহ হয়েছিল। কিছু দিন যেতে না যেতেই স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের অবনতি হয়। একপর্যায়ে গত বুধবার উভয়কে নিয়ে ইদগাঁহ বাজার নামক স্থানে শালিষ বৈঠক হয়। উক্ত শালিষ বৈঠকে প্রধান শালিষ মনিরুল ইসলাম মাষ্টার ৪ লক্ষ টাকার বিনিময়ে খোলা তালাকের রায় প্রদান করেন এবং নগদ টাকা শালিষ বৈঠকে জমা নিয়ে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। এ ব্যপারে ফাতেমা বেগমের ভাই রানা হাওলাদার অভিযোগ করে বলেন মাদ্রাসা শিক্ষক মোঃ মনিরুল ইসলাম আমার বোনের কাছে ২ লক্ষ টাকা দিয়ে বাকি ২ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়। এরপর এক লক্ষ টাকা ফেরত চাইলে আমাকে বিভিন্ন ভয়ভীতি ও হুমকি দেয়। তার ভয়ে এলাকার কেউ মুখ খুলেছেনা। এদিকে মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগের ভিডিও বিভিন্ন মোবাইল ফোনে ছড়িয়ে পড়ে। এছাড়াও কিছু দিন পূর্বে আলমগীর গোমস্তাকে মাদ্রাসার অফিস কক্ষে প্রকাশ্যে মারধর করার জন্য তেড়ে আসে এবং বিভিন্ন ভয়ভীতি ও হুমকি দেয়। এমনকি দুই মাস পূর্বের মাদ্রাসার কয়েকজন শিক্ষার্থীকে বেত্রাঘাত করে অভিভাবকদের তোপের মুখে পড়েছিল। রানা হাওলাদারসহ এলাকার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ করে বলেন, মনিরুল ইসলাম মাষ্টার মাদ্রাসা ফাঁকি দিয়ে বিভিন্ন স্থানে শালিষি করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে নিজের আখের গোছাচ্ছে। ক্ষমতার দাপটে সে সীমাহীন দুর্নীতি ও অনিয়মের সাথে জড়িত থেকেও কোন না কোন ভাবে পাড় পেয়ে যাচ্ছেন। যেন দেখার কেউ কেউ নেই। তার অপরাধের মাত্রা চরমে পৌঁছেছে। অভিযুক্ত শিক্ষক মোঃ মনিরুল ইসলাম মাষ্টার, বিষয়টি ভিত্তিহীন বলে ব এড়িয়ে যান। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এবিএম জাহিদুল ইসলাম জানান বিষয়টি জানা নেই, তবে খতিয়ে দেখা হবে।