
রবিউল ইসলাম রবি ॥ দেড় কেজি গাঁজা বিক্রির সময় বরিশাল মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের দুই সদস্যকে আটক করেছে স্থানীয় জনতা। ২৫ সেপ্টেম্বর (সোমবার) সকাল সোয়া ছয়টায় নগরীর মোহাম্মদপুর এলাকার ডগেরপার নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে। আটককৃতরা হলেন, বরিশাল জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ক) সার্কেলের সাব-ইন্সপেক্টর মো: ওবায়দুল্লাহ ও সিপাহি সবুজ।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি (দক্ষিণ) আশরাফ হোসেন বলেন, বরিশাল জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের দুই সদস্য নগরীর পলাশপুর এলাকায় গাঁজা বিক্রি করতে গেলে স্থানীয় জনতা তাদের হাতেনাতে আটক করে। এরপর মোবাইল ফোনে সংবাদ পেয়ে আমাদের থানা পুলিশ ঘটনাস্থল গিয়ে তাদের হেফাজতে নেয়।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, গতকাল রবিবার রাতে তিন কেজি গাঁজাসহ একজনকে আটক করেন ওসি সিদ্দিকের টিম, সেই টিমেই কর্মরত ছিলেন এস আই ওবায়দুল্লাহ ও সিপাহি সবুজ। অভিযান শেষে সকলে অফিসে আসার পর অফিস থেকে সাব-ইন্সপেক্টর ওবায়দুল্লাহ ও সিপাহি সবুজ বের হয়। এর কিছুক্ষণ পর জানতে পারি তারা পলাশপুর এলাকায় গাঁজা বিক্রি করতে গেলে স্থানীয় জনতা তাদের আটক করে।
এ বিষয়ে কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: আসাদুজ্জামান বলেন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের দুই সদস্য গাঁজাসহ আটক হয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
আটককৃত ওই দুই কর্মকর্তা হলেন, ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছা থানার অর্ন্তভূক্ত সাটোরি গ্রামের আব্দুল মালেক খান এর পুত্র ওবায়দুর রহমান এবং পিরোজপুর জেলার নেছারাবাদ উপজেলার উত্তর কঠিন গ্রামের আঃ সেলিমের ছেলেমোঃ সবুজ ।
জানা গেছে, ঘটনাস্থলে ওই দু’কর্মকর্তা গেলে স্থানীয় মহিলারা তাদেরকে জিজ্ঞাসা করেন, আপনারা কোথায় যাবেন? তখন তারা বলে আমরা আসামি ধরতে আসেছি। তখন কোহিনুর বেগম, শিল্পী, সোনিয়া নামের মহিলারা মিলে প্রশ্ন করে আপনাদের ব্যাগে কি? দেখাতে অস্বীকৃতি জানালে, হঠাৎ তাদের ব্যাগ খুলে ওই মহিলারা তার ভিতরে দেখেন গাঁজা । তখন তাদের ডাক চিৎকারে অত্র এলাকার আরও মহিলা পুরুষ নেমে ওই দু’কর্মকর্তাকে আটক করে। এবং পুলিশ ও র্যাব-৮ কে সংবাদ দেয়। পরে আটককৃত দুই ব্যক্তিকে সকাল সোয়া ৯ টায় নিয়ে যায় র্যাব।