
মোঃএমদাদুল কাসেম সেন্টু, উজিরপুর প্রতিনিধিঃ বরিশালের উজিরপুর উপজেলায় উজিরপুর পৌরসভায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসী হামলায় আহত ট্রলি চালক মোঃ সোহেল মাঝি ৮ দিন পর ঢাকায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্হায় মৃত্যু বরন করেন। স্হানীয় ও অভিযোগ সুত্রে জানাযায় ১১ নভেম্বর সকাল সাড়ে ৭ টায় পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডের বীর মুক্তিযোদ্ধার মোঃ সোবাহান মাঝির পুত্র ট্রলি চালক মোঃ সোহেল মাঝি(৩০) এর সাথে একই এলাকার গাজা ব্যবসায়ী ও একাধিক মাদক মামলার আসামী মৃত মোঃ হান্নান মাঝি পুত্র মাদক ব্যবসায়ী মোঃ রাব্বি মাঝি ও মোঃ পলাশ মাঝি গং দের সাথে মাদক ব্যবসায় বাধা কেন্দ্র করে এবং একটি জিন্স এর প্যান্ট ও পারিবারিক বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। কথা কাটাকাটির এক পর্যায় সংঘর্সের ঘটনা ঘটে। সংঘর্সে সোহেল মাঝি মাথায় গুরুতর আঘাত প্রাপ্ত হয়। স্হানীয়রা উদ্ধার করে উজিরপুর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেন। বরিশাল থেকে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করেন। , ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্হায় ৮ দিন পর ১৮ নভেম্বর সকালে মৃত্যু বরন করেন । ১১ নভেম্বর হামলার ঘটনায় ১২ নভেম্বর উজিরপুর মডেল থানায় মোঃ সোহেল মাঝির স্ত্রী মাকসুদা বেগম বাদী হয়ে মৃত মোঃ হান্নান মাঝির পুত্র মাদক ব্যবসায়ী পলাশ মাঝি(২০), জয়নাল হাওলাদারের মোঃ রাজু হাওলাদার (৩২), মৃত মোঃ হান্নান মাঝির পুত্র মাদক ব্যবসায়ী মোঃ রাব্বি মাঝি(২৫), মোঃ জয়নাল হাওলাদারের পুত্র মোঃ শাহাদাৎ হাওলাদার ওরফে অলি(২৫), মোঃ রবিউল ইসলাম হাওলাদার (২২), মোঃ সফিক হাওলাদার (২০), মৃত আফতাব হাওলাদারের পুত্র মোঃ জয়নাল হাওলাদার (৬০) মৃত মোঃ হান্নান মাঝির স্ত্রী মোসাম্মত সিমা বেগম(৫০)সহ অজ্ঞাত নামা ৭/৮ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করে । ওই মামলায় থানা পুলিশের মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোঃ মাহফুজুর রহমান এর কাছে আসামী গ্রেপ্তারের ব্যপারে জানতে চাইলে তিনি জানান অভিযান চালিয়ে ২ আসামীকে গেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়। গ্রেপ্তার কৃত ২ আসামী সহ ৭ জন আদালত থেকে জাবিনে রয়েছে ও ১ জন আসামী পলাতক রয়েছে । হত্যার ঘটনায় মামলার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন মৃত্যর সনদ পেলে আদালতের বিচারকের কাছে হত্যার মামলার ব্যাপারে অনুমতি নিয়ে আসামীদের আবারো গ্রেপ্তার করা হবে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই এলাকার একাধিক ব্যক্তি জানিয়েছেন মৃত হান্নান মাঝির বাড়ি ছিল পিরোজপুর জেলায় উজিরপুরের ৭ নং ওয়ার্ডে বাড়ি করে বসবাস করে এবং তিনি মাদক বিক্রি করতেন। মাদক সহ পুলিশ ও র্যাবের হাতে একাধিক বার গ্রেপ্তার হয়েছিল। তার মৃত্যুর পরে পুত্ররা মাদক ব্যবসা করে থাকে। ওই মাদক ব্যবসায় ভিবিন্ন সময় বাধা দিত সোহেল মাঝি সহ সচেতন মহল। মাদক ব্যবসায় বাধা দেয়ায় পলাশ মাঝিদের সাথে, সোহেল মাঝির শস্ক্রতা তৈরী হয়। কিছু দিন আগে সোহেল মাঝির পুত্রের একটি জিন্সের প্যান্ট হারিয়ে যায়। হারিয়ে যাওয়া প্যান্টটি মত প্যান্ট পলাশের পুত্রের পরনে দেখে সন্দেহ হলে পলাশ মাঝিকে জিজ্ঞাসা করিলে বিরোধের সৃষ্টি হয়। মাদক ব্যবসায় বাধা ও প্যান্টের বিষয় জিজ্ঞেস করায় পরিকল্পিত ভাবে টারমিনাল রোড মৃত হাসান হাওলাদারের স্বমিলের সামনে রাস্তার উপর হামলা চালায়। হামলায় আহত হয় ও চিকিৎসাধীন অবস্হায় হাসপাতালে মৃত্যুর ঘটনা ঘটে । মৃত্যুর খবর পেয়ে শোকাহত পরিবারদের সমবেদনা জানাতে ওই বাড়িতে ছুটে যান উজিরপুর পৌর বিএনপির সভাপতি মোঃ শহিদুল ইসলাম খান সহ বিএনপির সহযোগী সংগঠনের ও রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মিগণ । মৃত্যুর ঘটনা ওই এলাকায় শোকের মাতম বইছে ।