
মো: জিয়াউদ্দিন বাবু: ভালো চাকুরির প্রলোভনে দুবাই মানব পাচারকারী চক্রের কাছে বিক্রি, অমানুষিক নির্যাতন ও মুক্তিপও আদায়ের দায়দুই আসামিকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা অনাদায় ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং দশ ধারায় সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ৫০০০০ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায় ছয় মাসের প্রদান করা হয়েছে উভয় সাজা একত্রে চলবে। বুধবার বরিশালের মানব পাচার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. সোহেল আহমেদ এ রায় দেন।
দন্ডিতরা হলেন- লক্ষ্মীপুরের রায়পুরা উপজেলার উত্তর কেরুয়া (নাজির দিঘির পাড়) এলাকার মোশারেফ হোসেনের ছেলে শাহ ইমরান সাগর (৪৫) ও হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার দত্তপাড়া এলাকার আনসার আলীর ছেলে মো. বাচ্চু মিয়া (৩৭)। রায় ঘোষনার সময় উভয় পলাতক ছিলেন।
মামলার বরাতে ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী তুহিন মোল্লা বলেন, বরিশাল নগরীর ২৩ নম্বর ওয়ার্ড হরিনাফুলিয়া নতুন হাট এলাকার বাসিন্দা নবীন ফরাজীকে (২৮) সাড়ে তিন লাখ টাকা চুক্তিতে ২০২৩ সালের ২৭ মার্চ দুবাই পাঠায় শাহ ইমরান সাগর। দুবাই পৌছানোর পর তাকে বাচ্চু মিয়া নিয়ে গিয়ে মানবপাচার চক্রের সদস্যদের কাছে বিক্রি করে দেয়। চক্রের সদস্যরা দীর্ঘদিন তাকে অমানুষিক নির্যাতন করে। পরে নবীনের বাবার কাছ থেকে পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপন নিয়ে ছেড়ে দেয়। দুবাইয়ে থাকা এক প্রবাসীর মাধ্যমে দেশে আসে নবীন। দেশের আসার পর ২০২৩ সালের ৩০ আগষ্ট দুই জনকে আসামী করে বরিশাল মানব পাচার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করে তিনি। আদালতের নির্দেশে কোতয়ালী মডেল থানার এসআই মো. শিহাবউদ্দিন মামলার তদন্ত করে ২০২৪ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারী দুইজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশীট জমা দেয়। বিচারক ৭ জনের স্বাক্ষ্য গ্রহন শেষে রায় দেন। রায়ে এক ধারায় যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৬ মাসের কারাদন্ড দেয়া হয়। অপর একটি ধারায় ১০ বছর কারাদন্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। জরিমানার টাকা বিধি মোতাবেক আদায় করে বাদীকে দেয়ার আদেশ দিয়েছেন বিচারক।মামলা পরিচালনা করেন মানব পাচার আদালতের পিপি মো : লিয়াকত আলীখান।