মো:এমদাদুল কাসেম সেন্টু, উজিরপুর প্রতিনিধিঃ বরিশালের উজিরপুর উপজেলার শোলক ইউনিয়নের ধামুরা নূরানী মাদ্রাসা শিক্ষক কর্তৃক ছাত্রকে বলৎকার ও বিষয়টি বাবা-মাকে জানালে ছাত্র'র উপর নির্মম নির্যাতন চালিয়েছে শিক্ষক বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। ভুক্তভোগী সুত্রে জানা যায় উপজেলার শোলক ইউনিয়নে ধামুরা মাহমুদিয়া নূরানী ও হাফেজী মাদ্রাসার মুহতামিম হাফেজ মো: অকিল ওই এলাকার মোঃ সাইদুল ইসলাম মৃধার ছেলে হেফজ পড়ুয়া ছাত্র সোলায়মান হোসেন মৃধা(১২) কে বিভিন্ন ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে গত ২২ জুলাই সকালে বলৎকার করে। বিষয়টি বাবা-মাকে জানালে ক্ষিপ্ত হয়ে নূরানী মাদ্রাসার মুহতামিম হাফেজ মো: অকিল ২৩ জুলাই ভোর ৬ টার দিকে বাঁশের লাঠি দিয়ে নির্মম ভাবে শারীরিক নির্যাতন চালায়। এতে মাদ্রাসা ছাত্র সোলায়মান মৃধার শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত ও হাড়ভাঙা যখম হয়। আহত শিক্ষার্থীকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে উজিরপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নেয়া হয়। সেখানে পরীক্ষা-নিরিক্ষা করা হয়। এ ব্যপারে শিক্ষার্থী সোলায়মান মৃধা বলেন হাফেজ মো: অকিল হুজুর আমার সাথে কূ-কর্ম করে। তা আমি বাবা-মাকে জানালে মাদ্রাসায় বসে আমাকে বাশের লাঠি দিয়ে একশত পিটান দেয়। ছাত্র'র বাবা সাইদুল ইসলাম মৃধা জানান আমার ছেলেকে বলৎকার করে ওই লম্পট শিক্ষক। বিষয়টি আমাদের জানালে ক্ষিপ্ত হয়ে আমার অবুঝ শিশু সোলায়মানকে হত্যার উদ্দেশ্যে বাঁশের লাঠি দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীণ রয়েছে। অল্পের জন্যে প্রানে বেঁচে যায়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মামলা দায়ের করা হয়নি,তবে প্রস্তুতি চলছে। অভিযুক্ত শিক্ষক পালিয়ে থাকায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। উজিরপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আব্দুস সালাম জানান অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। উজিরপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এবিএম জাহিদ হোসেন জানান বিষয়টি সরেজমিনে তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তীতে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। এদিকে হামলাকারী লম্পট শিক্ষককে অচিরেই গ্রেফতার পূর্বক দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসী।