মো: এমদাদুল কাসেম সেন্টু,উজিরপুর প্রতিনিধিঃ বরিশালের উজিরপুর উপজেলায় পৌরসভায় মেধাবী স্কুল ছাত্রী তামান্না আক্তারকে ধর্ষণের পর শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করেছে নিহতের পরিবার, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ এলাকাবাসী।
বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ উপজেলায় বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীরনগর ইউনিয়নের আগরপুরর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২য় শ্রেনীর মেধাবী শিক্ষার্থী তামান্না আক্তারকে হত্যার প্রতিবাদে ১৪ মে মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় আগরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে প্রধান সড়কে মানববন্ধনে অংশগ্রহন করে শত শত শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসী। আগরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও আগরপুর আলতাফ মেমোরিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শত শত শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকসহ এলাকাবাসী। এসময় আগরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কমল কান্তি দাস বলেন, তামান্না আমার বিদ্যালয়ের আদরের দ্বিতীয় শ্রেনীর মেধাবী ছাত্রী ছিলো, ওকে নরপিচাশরা শুধু হত্যাই করেনি,ধর্ষনের পর হত্যা করে অপরাধকে আড়াল করার জন্য গলায় ফাঁস লাগিয়ে আড়ার সাথে ঝুলিয়ে রেখেছে। তাই এই জঘন্যতম অপরাধের জন্য প্রশাসনের সর্বমহলে সর্বচ্চ শাস্তিসহ ফাঁসির দাবি করেন তিনি। এছাড়া শিশু হত্যা কান্ডে জড়িতদের বিচারের দাবীতে বক্তৃতা করেন, স্কুল সভাপতি মোঃ ছানাউল হক,আগরপুর ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ এবায়দুল হক শাহীন, আগরপুর আলতাফ মেমোরিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক, অভিভাবক সদস্য মোঃ জামাল হোসেন, নিহত শিশু তামান্নার মাতা মোসাম্মৎ তানজিলা বেগম, বাবা মোঃ আমির হোসেন ফকির। এছাড়াও তামান্নার বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও তামান্নার হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন । উল্লেখ্য ৩ মে আগরপুর গ্রামের আমির ফকিরের মেয়ে তামান্না আক্তারের গলায় ফাঁস দেয়া অবস্থায় ঝুলন্ত লাশ উজিরপুর পৌরসভা ৪নং ওয়ার্ডের অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য মোঃ সুলতান হাওলাদারের ভবনের ছাদ থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। ৬ মে সোমবার নিহত শিশু তামান্নাকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় তার মা তানজিলা বেগম বাদী হয়ে ৫ জনকে আসামী করে বরিশাল নারী ও শিশু আদালতে অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য সুলতান হাওলাদারের ছেলে মোঃ তাওহীদ হাওলাদার ও তার পিতা সুলতান হাওলাদার, মা নাজনীন বেগম,বোন সুমি আক্তার ও সিমু আক্তারের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। সুত্রে জানা যায়,গত ২ মে শিশু তামান্না তার দূরসম্পর্কের খালু অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য মোঃ সুলতান হাওলাদারের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলো। পরের দিন লাশ হয়ে ফিরলো পিত্রালয়ে। পরিবারের দাবি শিশু তামান্নাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করার পর হত্যা করে ঘটনা ধামাচাপা দিতে গলায় ফাঁস দিয়ে লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়। এদিকে আলোচিত শিশু তামান্না হত্যা কান্ডে জড়িতদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন করেছে নিহত শিশুর পরিবার, শিক্ষক ,শিক্ষকসহ এলাকাবাসী।