অনলাইন ডেস্কঃ ভোলা জেলাধীন লালমোহন উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের সাব-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে সেবা গ্রহীতাদের বিভিন্ন অজুহাতে জিম্মি করে ঘুষ বানিজ্য, সরকারি অফিসে অবৈধ উপায়ে রাত্রি যাপনই নয় হরহামেশা আড্ডায় মেতে ওঠার পাশাপাশি বিস্তর অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল টাকা ঘুষ বানিজ্যের অভিযোগ পাওয়া গেছে । এমনকি, লালমোহন রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতিও সাব রেজিস্ট্রারের ঘুষ বানিজ্য থেকে রেহাই পাননি বলেও অভিযোগ উঠেছে। ।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, লালমোহন উপজেলা সাব রেজিস্ট্রার রফিকুল ইসলাম ইতিপুর্বে টানা তিন বছর চাকুরী করে নড়াইল বদলী হয়ে যান। ওই সময় চাকুরী করা অবস্থায় গড়ে তোলেন একটি সক্রিয় সিন্ডিকেট। ওই সিন্ডিকেটের দাপটে অফিসটিকে নিজের আখড়ায় পরিনত করে বদলি হয়ে যান। নিজের আধিপত্য দেখিয়ে পুনরায় অবকাশকালীন বদলির মাধ্যমে ২০২৩ সালে এ অফিসে যোগদান করেন। এরপরই শুরু হয় রফিকুল ইসলামের বেসামাল কর্মকান্ড। শুরু করেন বিভিন্ন ভূয়া অজুহাতে সেবা গ্রহীতাদের জিম্মি করে ঘুষ বানিজ্য। তার চাহিদা অনুযায়ী ঘুষ দিতে অপারগতা প্রকাশ করলেই বিভিন্ন ছুতায় দলিল সম্পাদন থেকে বিরত থাকার নাটকীয় অভিনয় শুরু করেন। কাঙ্ক্ষিত ঘুষ পকেটে ডুকলেই কেবল সব অজুহাত শেষ করে দলিল সম্পাদন করার একাধিক অভিযোগ রয়েছে। এমনকি স্থানীয় রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতির কাছ থেকেও বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে পাঁচ হাজার টাকা উৎকোচ আদায় করেন সাব রেজিস্ট্রার রফিকুল ইসলাম। সরকারি বিধিবিধানকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে কার্যালয়ের দ্বিতীয় তলায় অবৈধ ভাবে রাত্রি যাপন করেই ক্ষ্যান্ত হননি সাব রেজিস্ট্রার। রাতভর আড্ডায় মেতে ওঠেন বলেও একাধিক সূত্র নাম প্রকাশ না করা শর্তে অভিযোগ করেন।
এসব বিষয়ে ভোলা জেলা রেজিস্ট্রার কে ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।